নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মো. সোহেল রানা(৩৭) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে। কারাদণ্ড প্রাপ্ত মো. সোহেল রানা, মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শুক্রবার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বারুয়াখালী ইউনিয়নের বারুয়াখালী বাজারে বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আ. হালিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, উপজেলায় বারুয়াখালী ইউনিয়নের বারুয়াখালী বাজারে বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমবিবিএস ডাক্তার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন বন্ধন প্রতি শুক্রবার চেম্বারে রোগী দেখেন। কিন্তু তার সহকারী মো. সোহেল রানা সপ্তাহের অবশিষ্ট দিনগুলোতে নিজেই রোগী দেখেন, প্রেস্ক্রিপশনে বিভিন্ন রোগের জন্য টেস্টের নাম লিখে দেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট নিজেই করেন এবং নিজ স্বাক্ষরে সেগুলো রোগীদের সরবরাহ করেন। তিনি অনেক দিন ধরেই সাধারণ মানুষের সাথে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল এর নিবন্ধন ব্যতীত, এমবিবিএস ডিগ্রী না থাকা স্বত্তেও ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত মো. সোহেলকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্ত মো. সোহেল মূলত এমবিবিএস ডাক্তারের সহযোগী।
অপরদিকে, বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন নিবন্ধন না থাকার কারণে ক্লিনিকের মালিককে ৪ হাজার টাকা আর্থিকদণ্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ক্লিনিকের নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক না চালানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন এই ভুয়া ডাক্তারকে চিহ্নিত করে দিয়েছেন এবং ক্লিনিকের কাগজপত্র যাচাই করে দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ সহযোগিতা করেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আ. হালিম বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া, প্রতারক ডাক্তারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।