কাজী জোবায়ের আহমেদ : ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় আরসিসি রাস্তার উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের পাইপ নিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে উপজেলা যুবলীগের সদস্য লুৎফর মোল্লা ও রাকিব মৃধা নামে দুই ব্যক্তি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়ক ছিদ্র করে নেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ড্রেজারের পাইপ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিলাকোঠা কবরস্থান হতে ঈদগাহ্ মাঠ পর্যন্ত রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ড্রেজারের পাইপের কারনে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরেও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ড্রেজার ব্যবসা পরিচালনার জন্য রাস্তা ও গ্রামঅঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ড্রেজারের পাইপ নিয়ে চলাচলের বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।
জানা যায়, এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে ড্রেজারে বালু উত্তলন বন্ধ করলেও অনেকেই ড্রেজারের পাইপ রেখে দিয়েছে রাস্তার উপর। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর ড্রেজারের পাইপের কারণে নয়াবাড়ি ইউনিয়নে আঞ্চলিক মহাসড়ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া বাহ্রাঘাটের আশেপাশের বাড়িঘর ভেঙ্গে যায়। পরে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নির্দেশে পদ্মানদীর পার থেকে কাটার দিয়ে বালু উত্তলন ও রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় উপজেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার পরেও রাস্তায় কিভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসি।
এবিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ী উপজেলা যুবলীগ নেতা লুৎফর মোল্লা জানান, এখন ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ আছে। যেখানে তার ড্রেজারের পাইপ নেয়া হয়েছে সেই রাস্তাটি আগেই ভাঙ্গা ছিলো। তিনি বলেন, এখানে আরও অনেকের পাইপ রয়েছে। সবাই রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ নেয় তাই আমিও নিয়েছি।
অপর ড্রেজার ব্যবসায়ী রাকিব মৃধা বলেন, এখন তো ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ, শুধু পাইপ নেয়া হয়েছে। রাস্তার প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই।
এব্যাপারে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বী বলেন, রাস্তা প্রতিবন্ধকতা করে কেউ ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।