নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেন উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন উপস্থিত ছিলেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশর ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন উপস্থিত বক্তারা। ভার্চুয়ালে সভার প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (এমপি)। তার অনুপস্থিতে পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, এই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে আজকের এই জন্মদিন স্বার্থক হবে। তৎকালীন বিচার ব্যবস্থা রোহিত করা হয়েছিল। জাতির মহানায়ককে হত্যা করা হয়েছিল কিন্তু বিচার করা হবে না বলে আইন করেছিল স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি রাজাকার-আলবদর, জামাত-বিএনপি দালালরা। কিন্তু থামিয়ে রাখতে পারিনি জাতির মহানায়ককে এবং তার সু-যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার আদর্শ পালনে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন জাতির মহানায়ক শেখ মুজিব এর জন্য ৭ই মার্চের ভাষন দিয়ে বাঙ্গালির জনমনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন ‘তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা কর, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই ঐতিহাসিক ভাষনকে বিশ্ব ঐতিহাসিক ভাষন হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছেন। পৃথিবীর মানচিত্তে লাল সবুজের বাংলাদেশ নামক একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ।
পরিশেষে তিনি দোহার বাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় সাংসদ সালমান ফজলুর রহমান এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জীবনের প্রথমে পার্লামেন্টে গিয়ে তিনি শুরুতে জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করার জন্য মাননীয় স্পীকারের মাধ্যমে প্রস্তাব রাখেন। ফলে সর্ব-সম্মতিতে এই স্লোগান জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন, যা দোহারবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রানঢালা অভিনন্দন জানান তিনি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম এর সভাপত্বিতে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি করম আলী, মোল্লা বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন সিকদার, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব আলী মোল্লা, ঢাকা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনার কলি পুতুল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সদস্য জয়নাল আবেদীন, সদস্য সুরুজ আলম সুরুজ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি সিয়াস উদ্দিন সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুজাহার বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা ইসলাম বিথী, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার, নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তরুণ, দোহার থানা ওসি মো. মোস্তফা কামাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
সভা শেষে মুক্তির উৎসব ও সুবর্নজয়ন্তী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন আমন্ত্রীত অতিথিরা।